দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস
দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস সম্পর্কে আমারা অনেকেই অনেক কিছু জানি না। সকালে খালি পেটে কি খেলে দ্রুত ওজন বাড়বে, কোন খাবারে কি ভিটামিন আছে আমরা তাও জানি না। অনেকে আছে যারা দ্রুত ওজন বিদ্ধির জন্য অনেক রকম খবার, ভিটামিন, ব্যায়াম, ওষুধ ইত্যাদি নিয়মিত করে কিন্তু তাও তাদের ওজন বিদ্ধি হয় না, এটা তাদের জন্য বেশ হতাশাজনক।
তবে চিন্তার কিছু নেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, এবং দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট পরিবর্তন আনলে আপনিও স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে পারবেন। কোন খাবার খাবেন এবং কি কি পরিহার করবেন।আজকে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে দ্রুত, সহজ ও কার্যকর ভাবে কিভাবে ওজন বিদ্ধি করা যায়। নিচে দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার জন্য কিছু গোপন টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হোল।
পেজ সূচিপত্রঃ দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস
- দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার- কিছু গোপন টিপস
- সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়বে
- কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
- কি ব্যায়াম করলে ওজন বিদ্ধি হবে
- কোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বিদ্ধি পাবে
- ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার
- রাতের খাবারে কি কি খাবেন
- ওজন বিদ্ধির জন্য যেসব খাওয়া উচিত নয়
- রাতে ঘুমানোর আগে এই কাজটি করুন ওজন বাড়বে
- লেখকের মন্তব্যঃ দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস
দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস
দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস রয়েছে। অনেকেই ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তবে এমন বহু মানুষ আছেন যারা রোগা শরীরের
কারণে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে দ্রুত ওজন
বাড়াতে চান তবে কেবল বেশি খাওয়ায় যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট,
লাইফ স্টাইল এবং কিছু বিশেষ কৌশল। আসুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
করার কিছু গোপন টিপস।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য ঘন ঘন এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রোগা মানুষদের
জন্য দিনে ৫-৭ বার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রতিটি খাবার হতে হবে পুষ্টিকর এতে
থাকবে প্রয়োজনিয় কার্বোহাইড্রেট। প্রতিদিন খাবারের সাথে যোগ করুন ফ্যাটের
সুষম মিশ্রণ। ডিম, দুধ, বাদাম, পনির,ঘি বা মাখনযুক্ত ফল।
ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালোরি যুক্ত খাবার অনেক কার্যকর দিনে একবার হলেও কলা, দুধ,
বাদাম এবং হানি দিয়ে একটি হাই ক্যালোরি স্মুদি খেতে পারেন। এটি হজমে সহজ ও
দ্রুত শক্তি দেয়।
ঘুম শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা গভীর ঘুম না হলে শরীর
মাংসপেশি তৈরি করতে পারেনা বরং দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে পর্যাপ্ত
ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকে মনে করেন ব্যায়াম করলে ওজন কমে যায় কিন্তু সঠিক ওয়ার্ক আউট করলে ওজন
বাড়ে। বিশেষ করে মাংসপেশি গঠন হয়। ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন এমন ব্যায়াম হল
স্কয়াট, ডেড লিফট, বেঞ্চ প্রেস, পুশ আপ ইত্যাদি। যা শরীরকে ওজন বিদ্ধি করতে
সহায়তা করে।
মানসিক চাপ শরীরের মেটাবলিজম হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন বাড়তে বাধা পায়।
মেডিটেশন, বই পড়া বা গান শোনা যেটা আপনার মনে শান্তি আনে আপনি সেটাই করুন।
ওজন বাড়াতে গেলে খাওয়ার আগে বা খাওয়ার সময় খুব বেশি পানি না খাওয়াই ভালো এতে
পেট ভরে যায় এবং আপনি কম খেতে পারেন। তবে সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
বাজারে অনেক ওজন বাড়ানোর সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় তবে এগুলো শরীরের ক্ষতি করতে
পারে। প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়াতে ঘরের খাবারই সেরা। ডাক্তারের পরামর্শ থাকলে
শুধুমাত্র প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
কিসমিস খাবারের যোগ করতে পারলে ওজন বাড়াতে সেটা অনেক সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের
বীজ খাবারের সাথে যুক্ত করলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে যেমন মিষ্টি কুমড়ার বিচি,
সূর্যমুখীর বিচি, তিলের বীজ এগুলো ভাত বা তরকারির উপর হালকা করে ছিটিয়ে খেতে
পারেন যা আপনার দ্রুতগামী ওজন বিদ্ধিতে সহায়তা করবে।
একদিন বেশি খেয়ে পরের দিন না খাওয়ায় কোন লাভ নেই। সঠিক মেনে প্রতিদিন
নির্দিষ্ট সময় খাওয়া ও ঘুমানো, ব্যায়াম করাটা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
ওজন বাড়ানো কোন এক দিনের ব্যাপার নয়। এটি ধৈর্য ও নিয়মিত চর্চার বিষয় আপনি
যদি উপরের টিপসগুলো মেনে চলেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি নিজের মধ্যে
পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়বে
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাস শরীরের ওজনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে
কেমন খাচ্ছি তার প্রভাব সারা দিনের হরমোনের উপর পড়ে। অনেকে সকালে খালি পেটে
এমন কিছু খাওয়া-দাওয়া পানি গ্রহণ করেন না জেনে তা ওজন কমার কারণ হয়ে
দাঁড়ায়। আজকের লেখায় আলোচনা করব সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়বে এবং
কিভাবে আপনি সচেতন হবেন।
অনেকের সকালে ফলের রস পান করে দিন শুরু করেন বিশেষ করে বোতলজাত ফলের রস
এগুলোতে প্রাকৃতিক চিনির পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি যোগ করা থাকে খালি পেটে এ
জাতীয় পানীয় খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় যা ইনসুলিন নিঃসরণ
বাড়িয়ে দেয়।এই প্রক্রিয়া অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণ হতে পারে তার চেয়ে পুরো
ফল খাওয়া অনেক ভালো। কারণ এতে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীরে
করে।
পরোটা, সিঙ্গারা, পিয়াজু, আলুর চপ ইত্যাদি সকালের নাস্তা জনপ্রিয় আইটেম তবে
খালি পেটে এসব তেলে ভাজা খাবার খেলে হজমের সমস্যা তো হয় পাশাপাশি ক্যালরির
পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যা ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির
দিকে নিয়ে যায়।
সাদা পাউরুটি কেক বিস্কুট বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাতের ব্রেকফাস্ট আইটেম এগুলো
ফাইবার বিহীন এবং ক্যালরি যুক্ত খাবার। এগুলো খেলে হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে
যায়। কিন্তু তা দ্রুত হজম হয়ে যায় বলে কিছুক্ষণের মধ্যে আবার খিদে লাগে ফলে
সারাদিন অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় এবং শরীরে জমতে থাকে অতিরিক্ত
ক্যালরি।
মিষ্টি, চা, কফি খালি পেটে মিষ্টি, চা, কফি খাওয়া অনেকের অভ্যাস যদি এটি
শক্তি যোগায়। কিন্তু এক কাপ চায়ের সঙ্গে যদি দু চামচ চিনি বা দুধ থাকে তবে
সেটাও বেশ ক্যারে যুক্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাস রপ্ত
করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। সকালে খালি পেটে যেসব খাবার খেলে বাড়বে কলা,
ডিম, দুধ, মধু, বাদাম, ড্রাই ফ্রুতস, বীজ, আলু সিদ্ধ বা ভাজা, পিনাট বাটার,
সয়াবিন, তিলের বিজ, চিয়া সিড ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়বে
অনেকেই মনে করেন ভিটামিন মানে ওজন কমানোর বা শরীর ঠিক রাখার উপাদান। কিন্তু আপনি
কি জানেন কিছু ভিটামিন শরীরের বিপাক্রিয়া, ক্ষুধা ও ফ্যাট প্রক্রিয়ায় উপর
প্রভাব ফেলে। যার ফলে ওজন বাড়তে পারে। ভিটামিন বিশেষ করে যারা দুর্বল শরীর নিয়ে
চিন্তিত বা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আজকে আমি জানাবো
কোন কোন ভিটামিন ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এবং কিভাবে তা গ্রহণ করলে ভালো ফল
পাওয়া যাবে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে রয়েছে রাইবো ফ্লেভিন,
নিয়াসিন,বায়োটিন, ক্যারোটিন এ ভিটামিন গুলো শরীরের শক্তি উপাদান ও বিপাক
প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি খাবারের কার্বোহাইড্রেট,
প্রোটিন ও ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যারা দুর্বল বা খিদে কম তাদের জন্য বি
ওয়ান ও বি টুয়েলভ কার্যকর কারণ এগুলো খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ও বি
টুয়েলভ ঘাটতি থাকলে দুর্বলতা আসে ওজন কমে যেতে পারে। ছোট মাছ, গোস্ত, বাদাম,
শাকসবজি ও পুণ্য সরষে ভিটামিন বি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং
ক্ষুধা বাড়তে সহায়ক। যথেষ্ট ভিটামিন ডি থাকলে শরীরের পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায়। ভিটামিন ডি কম থাকলে শরীর সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ওজন কমতে শুরু
করে। সূর্যের আলো, ডিমের কুসুম, ছোট মাছ,দুধ ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট থেকে
ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ মূলত দৃষ্টিশক্তি ও ত্বকের জন্য ভালো। তবে এটি কোষের বৃদ্ধি
হরমন ফাংশনের সঙ্গে জড়িত। যারা খুব দুর্বল তাদের শরীরের কোষ গঠনের জন্য এটি
প্রয়োজন। ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে শরীর দুর্বল থাকে খিদে কমে যায়। সঠিক পরিমাণে
ভিটামিন গ্রহণ করলে কোষ গঠনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে সাহায্য করবে। মিষ্টি
কুমড়া, ডিম, কলিজা, দুধ ইত্যাদিতে ভিটামিন এ বেশী থাসি।
ভিটামিন সিঃ অনেকে ভেবে থাকেন ভিটামিন সি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কিন্তু এটা শরীরের আয়রন শোষণের সাহায্যে কলিজার দুর্বলতা দূর করে এবং খুদা
বাড়াই। অনেকে ভেবে থাকেন যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তাদের ওজন কমে যেতে
পারে।ভিটামিন সি শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে স্বাভাবিক
খিদে ফিরে আসে। আমলকি, মালটা, লেবু, কমলা, টমেটো ইত্যাদিতে ভিটামিন সি রয়েছে।
কি ব্যায়াম করলে ওজন বিদ্ধি হবে
উপরের আলোচনায় আমরা দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া
যায় জানলাম। এখন জানব মোটা হওয়ার জন্য যেসব ব্যায়াম বেশি কার্যকর। সাধারণত যেসব
ব্যায়াম পেশি বৃদ্ধি এবং শক্তি অর্জনের সহায়ক সেগুলো অনুসরণ করলে স্বাস্থ্যকর
ভাবে ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। নিচে কিছু কার্যকরী ব্যায়ামের তালিকা দেওয়া
হলো।
পুশ আপঃ পুশ আপ পেশি গঠনের জন্য অত্যন্ত কার্যকর এ ব্যায়াম বুক হাত এবং কাঁধের
পেশিকে গঠন করে যার ফলে ওজন বাড়ে পেশির মাধ্যমে।
স্কোয়াটঃ স্কোয়াট একটি কার্যকর ব্যায়াম যা মূলত আমাদের পেশিকে শক্তিশালী করে
এবং শরীরের নিচের অংশে ওজন বাড়ে।
ডেড লিফটঃ ডেড লিফট একটি ওয়েব ট্রেনিং ব্যায়াম যা কোমর ও পায়ের পেশীকে মজবুত
করে এটি পেশির বিদ্ধি ঘটায় ফলে ওজন বাড়ে।
বেঞ্চ প্রেসঃ ছেলেদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় বিশেষ করে যারা ওজন বাড়াতে চান ওজন
বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি অন্যতম ভালো ব্যায়াম।
দৌড়ঃ যদি এটি সাধারণত ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয় তবে দৌড়ে পেশীর গঠন
এবং মেটাবলিজম উন্নত হয় যা স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
নিচের এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব। তবে
ব্যায়াম শুরু করার আগে পেশাদার ফিটনেস ট্রেইনারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ কোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বিদ্ধি পাবে
কোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বিদ্ধি পাবে
কোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু বেশি খাওয়া নয় বরং
সঠিক খাবার খাওয়া জরুরী। নিচে এমন কিছু খাবার তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো নিয়মিত
খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারেন স্বাস্থ্যকর ভাবে এবং সাইড ইফেক্ট ছাড়ায়। দ্রুত
ওজন বৃদ্ধি করার উপযুক্ত খাবার।
ঘি ও মাখনঃ উচ্চ ক্যালোরি ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। ভাত বা রুটির সঙ্গে
মিশিয়ে খাওয়া যায় প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেলে ওজন বাড়বে।
দুধ ও দুধজাত খাদ্যঃ দুধ, ছানা, চিজ, এই সবগুলোতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম ও ফ্যাট
রয়েছে। দিনে দুই গ্লাস দুধ খেলে পেশি গঠনে সহায়তা করে।
ডিমঃ ডিম সিদ্ধ বা ভাজা যেভাবে খান সকালে রাতে একটি করে ডিম ওজন বাড়াতে
সাহায্য করে।
বাদাম ও শুকনো ফলঃ কাঠবাদাম, কাজু , কিসমিস, আখরোট, খেজুর সবগুলোতে প্রচুর
ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন খাবারে যোগ করলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।
পিনাট বাটার ঘিঃ এগুলো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর রুটির সঙ্গে খেতে পারেন।
চিকেন ও লাল মাংসঃ গরু খাসি যাই হোক এগুলো শরীরে ওজন বিদ্ধিতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে ২-৩ দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
কলাঃ কলা খুবই কার্যকর সকালে ব্রেকফাস্টে দুধের সঙ্গে কলা খেলে দ্রুত ফল পাওয়া
যায়।
রাইস বা রুটিঃ এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ভাতের সঙ্গে ঘি প্রোটিন
জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে।
ঘুমঃ শুধু খাওয়াই যথেষ্ট নয় বেশি ওজনের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম অপরিহার্য। ঘুমের সময় শরীরের
নতুন পেশী তৈরি করে এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করে। খাওয়ার পর শুয়ে থাকা শরীরে খাবার
হজমের সহায়তা করে এবং ক্যালরি সঞ্চয় করে। ঘুম ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশি বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। আপনার খাদ্যের মধ্যে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা যা ওজন বিদ্ধিতে
সাহায্য করবে। মুরগি এবং গরুর মাংসে প্রোটিন বেশি থাকে। ডিম, দই, পনির প্রোটিন
যুক্ত খাবার। মসুর ডাল ছোলা এবং মটর শুটির মতো খাবারে শুধু প্রোটিন বেশি থাকে না
ফাইবার থাকে। আপনার ডায়েটে এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো অন্তর্ভুক্ত করে
আপনি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রোটিন শরীরে
পেশি ঘটনে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ায়। শুধু ফ্যাট বা
কার্বোহাইড্রেট নয়, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য শক্তিশালী ওজন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
কিছু প্রোটিন যুক্ত খাবার হল ডিম,দুধ, মুরগির মাংস,মাছ, ডাল, ছোলা, বাদাম ও বীজ
পনির, টক দই, ওটস ইত্তাদি। সকালের নাস্তাই দুধ বাদাম কলা ও সামান্য প্রোটিন
পাউডার মিশিয়ে খেলে ওজন বিদ্ধিতে কাজ করে।
রাতের খাবারে কি কি খাবেন
রাতের খাবার সঠিকভাবে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যদি আপনি ওজন বাড়াতে
চান রাতে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা স্বাস্থ্যকর ফেটে ভরপুর এবং ঘুমে ব্যাঘাত না
ঘটে শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে। নিচে ওজন বাড়াতে সহায়ক পুষ্টিকর রাতের খাবার
তালিকা দেওয়া হলো।
রাতের খাবার আপনি ভাত, ডাল, সবজি, ডিম বা মুরগি খেতে পারেন। এক প্লেট খাওয়া যা
কালরি, হাইটেক প্রোটিন, ফাইবারে ভরপুর। ভালো সবজি হজমে সাহায্য করে আর ডিম বা
মুরগির মাংস পেশি গঠনে সহায়তা করে।
রুট্ পনির, ঘি, ডিমের ঝোল ইত্যাদি খাবার রাখতে পারেন। যা কার্বোহাইড্রেটের উৎস
আর পনির ঘি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ডিম থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।
খিচুড়ি, ডিম ভাজি, চিকেন খিচুড়ি হালকা খাবার এবং সহজে হজম হয় আবার ক্যালরি
থাকে খাবারে চিকেন যোগ করলে প্রোটিন বাড়ে।
সয়াবিন বা রুটি নিরামিষ দের জন্য ভালো প্রোটিন উৎস সঙ্গে সবজি থাকলে আরো ভালো।
দুধ, কলা, বাদাম ও সামান্য মধু দিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে খেতে পারেন।
রাতের খাবার সময় ঘুমানোর অত্যন্ত দুই ঘন্টা আগে হওয়া উচিত।
খুব বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমান মত খাবার খান যাতে হজমে অসুবিধা না হয়।
রাতে বেশি মিষ্টি ভাজাপোড়া খাবেন না এটি গ্যাসের সমস্যা ওজন বাড়ার বদলে শরীর
খারাপ হতে পারে।
খাওয়ার তিরিশ মিনিট আগে ও পরে পানি পান করুন খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি এড়িয়ে
চলুন।
ঘুমের আগে হালকা কিছু খেতে পারেন এক গ্লাস গরম দুধ চার-পাঁচটি কাজুবাদাম একটি কলা
ইত্যাদি।
রাতের খাবার সুষম পরিণত হলে ওজন বাড়বে স্বাস্থ্যকর ভাবে শুধু খাওয়ার পরিমাণ
বাড়ালেই হবে না পুষ্টির দিকেও নজর দিতে হবে।।
ওজন বিদ্ধির জন্য যেসব খাওয়া উচিত নয়
রাতের খাবারে ওজন বাড়বে কিন্তু একটি বড় ভুল কারণ করে তুলতে পারে ভুল
খাদ্যাভাস।ভুল খাদ্যাভাস ওজন বাড়ালেও চর্বি ও অনিয়মিত ফ্যাট আকারে জমে
গিয়ে শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। সুস্থভাবে ওজন বাড়াতে হলে যেমন কিছু
খাবার নিয়মিত খেতে হয় তেমনি কিছু খাবারকে এড়িয়ে চলা ও খুব জরুরী। নিচে ওজন
বৃদ্ধির সময় যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় সে খাবার গুলোর নাম বলা হলো।
ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুডঃ বার্গার, পিজ্জা, ফ্রাইড চিকেন, চকলেট ইত্যাদি এগুলো
পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করে সাময়িকভাবে ওজন বাড়ালেও এটি ফ্যাট ও বিষাক্ত আকারে
দেহে জমে থাকে।
মিষ্টি পানি ও সোডাঃ যেমন কেক, পেপসি, বোতলজাত জুস ইত্যাদি। এগুলোতে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালরি থাকে কিন্তু কোন পুষ্টিগুণ থাকে না এগুলো শুধু পেটের মেদ বাড়ায়
শক্তি বাড়ায় না।
অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ রসগোল্লা, লাড্ডূ, মিষ্টি দই, কেক ইত্যাদি
হজমের সমস্যা করে অতিরিক্ত খেলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে।
ভাজাপোড়া তেলচিটে খাবারঃ যেমন সিঙ্গারা, পুরী, চপ, পকোড়া, এতে ব্যবহৃত তেল শরীরে
খারাপ প্রভাব ফেলে ওজন বাড়ায় তবে সেটা স্বাস্থ্যকর ভাবে নয়।
ফ্যাট ও ডায়েট ফুডঃ বাজারে অনেক ডায়েট ভালো ক্যালোরির লেখা খাবার থাকে যা
সত্যিকারের পুষ্টি দেয় না এসব খেলে ওজন বাড়ায় না পাশাপাশি দুর্বলতা দেখা দিতে
পারে। তাই এগুলো আমাদের পরিহার করা উচিত। তাই বলা যায় যেসব খাবারে ক্যালরি আছে
কিন্তু পুষ্টি নেই সেগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আরও পরুনঃ দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার উপায়
রাতে ঘুমানোর আগে এই কাজটি করুন ওজন বাড়বে
রাতে ঘুমানোর আগে কয়েকটি সহজ অভ্যাস ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে তা
একদম স্বাস্থ্যকর ভাবে। অনেকে শুধু খেয়ে ঘুমিয়ে ওজন বাড়াতে চান কিন্তু সঠিক
উপায়ে না করলে তা শুধু চর্বি বাড়ায় শক্তি বাড়ায় না। রাতে ঘুমানোর
আগে কোন কাজটি করলে ওজন বাড়বে নিচে তা বলা হল।
রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধ একটি কার্যকর ও প্রাকৃতিক উপায়। ওজন বাড়ানোর
জন্য দুধে থাকে প্রোটিন,ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট-টমিনাল এটি বেশি গঠনের সাহায্য করে
যা ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়। দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয় আর যদি
ঘুম ঠিকঠাক হয় তাহলে শরীর ভালোভাবে রিকভার করে এবং ওজন বাড়ার জন্য
প্রস্তুত হয়। রাতে ঘুমের সময় শরীরের হরমোন বেশি নিঃসৃত হয় গরম দুধ শরীরকে
শান্ত করে। এ প্রক্রিয়া আরো সক্রিয় করে তোলে। দুধের সাথে এক চামচ মধু, খেজুর
পাঁচ ছয়টি কিসমিস রাখতে পারেন। দুধে শরীর মজবুত হয় ও দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
৫-১০ মিনিট হালকা হাটা ঘুমানোর আগে ভালো যার ফলে পেট ভালো থাকে।রাতে ঘুমানোর আগে
হালকা কিছু ব্যায়াম করা ভালো।।
ঘুমের আগে অল্প পানি খেলে শরীরে থাকে আর বেশি পানি খেলে বারবার বাথরুমে যেতে হয়।
তাই ঘুমের আগে পরিমাণমতো পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে পরিপূর্ণ ঘুমের
প্রস্তুতি নেয়া উচিত মোবাইল স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন, আলো কমান,শীতল ও শান্ত পরিবেশে
ঘুমাঅ। রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম হলে শরীর ভালো থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে বেশি
খাবার খাওয়া যাবেনা। কফি বা চা খাওয়া ঘুমের আগে ঠিক ভালো নয় এগুলো খেলে রাতে
ঘুম আসে না । এ অভ্যাস গুলো গড়ে তুললে আমি স্বাস্থ্যকর হবে ওজন বলাতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার-কিছু গোপন টিপস
দ্রুত ওজন বিদ্ধি করার উপায় কথাটি সহজ হলেও বাস্তবে অনেকের জন্য একটি বড়
চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রায় শুনি ওজন কমানোর জন্য টিপস ডায়েট চার্ট বা ফিটনেস
প্ল্যান কিন্তু যারা কম ওজনের কারণে দুর্বলতা মানসিক অস্থিরতা কিংবা
আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন তাদের সমস্যা গুলো অনেক সময় থেকে যায়।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর ঘন খাবার খাওয়া অত্যন্ত
জরুরি।আজকের এই ব্লগে আমরা ওজন বৃদ্ধি করার বৃদ্ধি করার অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করেছি।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন কি ভাবে দ্রুত ওজন
বৃদ্ধি করা যায় সেই সম্পর্কে। তাছাড়াও আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো আপনার
নিয়মিত খাবার খাওয়া উচিত এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর ও
ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। এবং ৭ থেকে ৮ ঘন্টা
ঘুমানো কারণ এটি শুধু শরীরে সুস্থ ও শক্তিশালী করে না বরং স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন
বাড়াতে সাহায্য করে।
আমি যে উপায়গুলো বলেছি সে উপায়গুলো অবলম্বন করার পরেও যদি আপনার ওজন না বাড়ে
তাহলে আপনার উচিত একজন বিশেষ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং সে অনুযায়ী
ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি
আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমার আর্টিকেলটি নিয়ে যদি আপনাদের কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন
থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
মুক্তা আইটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url