ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সহজ জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান ও কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের গায়ের রং শ্যামলা বা কালো। ফর্সা ও উজ্জ্বল চেহারা পেতে আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন রকম সাবান ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কি সাবান ব্যবহার করছি এবং তার গুনাগুন কি সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।
ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম সাবান রয়েছে।প্রত্যেকে সাবানেরই নির্দিষ্ট গুনাগুন সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান বেছে নেওয়ার জন্য সাবানের গুনাগুন, উপাদান এবং ত্বকের প্রভাব সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই ব্লগে ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান ও কিছু কার্যকারী উপায় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সাবান তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
- ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
- ত্বকের যত্নে ভালো সাবানের গুরুত্ব
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সাবান তৈরি করা যায়
- ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদ ও নিমপাতার গুরুত্ব
- মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাত পা ফর্সা করার উপায়
- ভালো সাবান বাছাইয়ের মূল উপাদান
- ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সাবান নির্বাচন
- বাজারে জনপ্রিয় পাঁচটি সেরা সাবান
- লেখকের মন্তব্যঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরনের
ওপর।বাজারে ফর্সা হওয়ার জন্য এবং অনেক সাবান আছে যেগুলো ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ
করতে সাহায্য করে। আজকের এই ব্লগে আমরা ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এবং
কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সাবান তৈরি করে ত্বক ফর্সা করা যায় সেই উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানব।ফর্সা হওয়ার জন্য কিছু জনপ্রিয় ভালো সাবানের নাম নিচে দেওয়া
হলো।
Papaya Soap: এই সাবানে রয়েছে পেঁপের নির্যাস যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
লাইটেনিং ও এক্সফোলিএটিং প্রভাব ফেলে। এ সাবান ব্যবহার এর ফলে ত্বকের ময়লা ও
দাগ দূর হয় এবং এই সাবানটি সম্পূর্ণ ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টে দিয়ে তৈরি। এই
সাবান নিয়মিত ব্যাবহারের ফলে ত্বক দ্রুত ফর্সা হয়।
Himalaya Herbal Soap: এই সাবানটি হালকা ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা
হয়। এই সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের ব্রণ কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক
ফর্সা ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে ত্বক দ্রুত
ফর্সা হয়।
Kojic Whitening Soap: এই সাবানে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি যা
সমস্ত শরীর ফর্সা করার কার্যকরী ক্ষমতা রয়েছে। এটি আপনার শরীরের সমস্ত জায়গা
উজ্জ্বল করবে ত্বকের কালো দাগ, মেছতা, ব্রন এবং ত্বকের উপর জমে থাকা ময়লা
পরিষ্কার করবে। সাত দিনের মধ্যে এর ফলাফল পাওয়া যায়।
ত্বকের যত্নে ভালো সাবানের গুরুত্ব
ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ যা প্রতিনিয়ত ধুলাবালি, রোদ, দূষণ ও
জীবানুর সংস্পর্শে আসে। তাই ত্বক সুস্থ ও পরিষ্কার উজ্জ্বল রাখতে হলে প্রতিদিন
ভালো মানের সাবান ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। শুধু পরিষ্কার রাখায় না একটি
ভালো সাবান ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী সুরক্ষা, হাইড্রেশন এবং পুষ্টি যোগান
দেয়। নিচে ত্বকের যত্নে ভালো সাবান ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো।
ভালো মানের সাবান ত্বকের গভীরভাবে ময়লা ও ঘাম দূর করে। এটি ত্বককে সতেজ রাখে
যা ব্রণ বা রাশের মত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। অনেক সাধারন সাবান রয়েছে যা
ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয় যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু ভালো সাবানে
থাকে মোশ্চারাইজিং উপাদান যা ত্বকের প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য
করে। যেমন গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা, শিয়া বাটার ইত্যাদি। ডেটল বা
লাইফবয়ের মতো আন্টিসেপ্টিক সাবান ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা
করে।
যারা বাইরে কাজ করে বা গরমে ঘামে বেশি তাদের জন্য এটি অনেক
জরুরী। প্রাকৃতিক উপাদান যেমন নিম, হলুদ, অ্যালোভেরা, দুধ, বেসন
ইত্যাদি দিয়ে যদি ঘরে বসে সাবান তৈরি করা যায়। তাহলে তা ব্যবহারের ফলে
ত্বকে ব্রনের প্রবণতা কমায় এবং এলার্জি থেকে রক্ষা করে। ত্বকের যত্নে ভালো
সাবান ব্যবহার করা শুরু সৌন্দর্য চর্চা নয়। এটি ত্বককে সুস্থ রাখার একটি
প্রয়োজনীয় অংশ। ভুল সাবান ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ, চুলকানি বা
ব্রন যুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই নিজের স্কিন টাইপ বুঝে মানসম্মত সাবান
বেছে নেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সাবান তৈরি করা যায়
সুন্দর কোমল ও সুস্থ থাকার জন্য ভালো মানের সাবান ব্যবহার করা অত্যন্ত
জরুরি। কিন্তু বাজারের অনেক সাবানে থাকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল যা ত্বকের
জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চাইলে ঘরে বসে সাবান তৈরি করা যায় যার
ত্বকের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে ঘরে
বসেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী উপাদান দিয়ে সাবান তৈরি করা যায়।
সাবান তৈরির জন্য প্রথমে কিছু নির্দিষ্ট উপকরণ প্রস্তুত রাখতে হবে যেমন
নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল তেল ইত্যাদি। এগুলো সাবান
কে মশ্চারাইজিং এবং কোমল করে তোলে। এছাড়াও প্রয়োজন হবে সোডিয়াম
হাইড্রোক্সাইড যা তেলকে সাবানে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে
হলুদের গুঁড়া বা নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বকের যত্নে ভালো
উপাদান।
এরপর একটি কাচ বা স্টিলের পাত্রে পরিমাণ মত ডিস্ট্রিলড পানি নিয়ে তাতে ধীরে
ধীরে লায় গুড়া মেশাতে হবে। কখনই লায়ে পানি ঢালা যাবে না বরং পানিতে লায় দিন
না হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। লায় মেশানোর সময় প্রচন্ড গরম হয়ে যায়
তাই একটু ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আরেকটি
পাত্রে নারকেল তেল, অলিভ অয়েল এবং কাস্টর অয়েল একত্র করে হালকা গরম করে
নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার কিছু গোপন টিপস
এরপর তেল ঠান্ডা হলে সেটির সঙ্গে লায় দ্রবণ আস্তে আস্তে মেশাতে হবে যতক্ষণ
না এটি পুরোপুরি ঘন হয়ে যায়। এই পর্যায়ে আপনি এতে হলুদ, নিম পাতা
বাটা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করতে পারবেন। সবকিছু ভালোভাবে
মিশিয়ে একটি ছাচে ঢেলে রাখতে হবে। সার্চ না থাকলে প্লাস্টিক বক্স এর মধ্যে
ঢেলে রাখলেও হবে। মিশ্রণটি ঢালার পর 24 থেকে 48 ঘন্টা জমতে সময় লাগবে। তারপর
আপনার নিজের পছন্দমত টুকরা করে কেটে নিতে পারবেন। উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী
আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতে বসেই সাবান তৈরি করতে
পারবেন।
ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদ ও নিমপাতার গুরুত্ব
প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার
ব্যবহার জনপ্রিয়। এই দুটি উপাদানে রয়েছে এন্টিসেপ্টিক, অ্যান্টি
ব্যাকটেরিয়াল গুন। যা ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানে কার্যকর। নিয়মিত
ব্যবহার করার ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল মসৃণ এবং রোগমুক্ত। নিচে কাঁচা হলুদ ও
নিমপাতা ত্বকের যত্নে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা আলোচনা করা হলো।
কাঁচা হলুদের গুরুত্বঃ কাঁচা হলুদে থাকে কার কারকিউমিন নামক
উপাদান। যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। এটি ত্বকে ব্রণ বা
রাশ হওয়ার প্রবণতা কমায়। হলুদ ত্বকের মেলানিন নিয়ন্ত্রণ
করে এবং রঙের তারতম্য কমিয়ে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে। হলুদ ব্রণ শুকাতে
সাহায্য করে। হলুদ ত্বকের কালো দাগ দূর করে। নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে
ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়।
নিম পাতার গুরুত্বঃ নিম পাতা ত্বকে জীবাণু জন্মাতে বাধা দেয় যা ব্রণ
চুলকানি ও চর্ম প্রতিরোধে সহায়ক। নিমপাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল
উপাদান যা ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা দাদ কমাতে কার্যকর। নিম পাতা ত্বকের
অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে যা ব্রণের মূল কারণগুলোর একটি। নিমপাতা
ত্বকের গভীর থেকে ময়লা দূর করে এবং ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়াও আপনি যদি কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে
পারেন তাহলে ত্বক দ্রুত ফর্সা ও জীবাণুমুক্ত হবে। ত্বকের যত্নে কাঁচা
হলুদ ও নিমপাতা একটি শক্তিশালী ও প্রাকৃতিক সমাধান। এগুলো
নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল, ব্রণ মুক্ত ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত।
বাজারে কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনীর চেয়ে এটি অনেক বেশি নিরাপদ ও
কার্যকর।
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল মুখ দেখতে সবারই ভালো লাগে। এখন সবাই চাই সুন্দর
ও উজ্জ্বল ত্বক কিন্তু মুখে যদি কালো দাগ থাকে তাহলে সে দাগ মুখের
উজ্জ্বলতা ও চেহারা সুন্দর অংশটুকু ঢেকে ফেলে।মুখের কালো দাগ দূর করার অনেক উপায় রয়েছে। নিচের মুখের কালো দাগ দূর করার
কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো।
- কমলার খোসা বেটে মুখে লাগালে মুখে ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয় ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়।
- মুখের কালো দাগ দূর করতে চন্দন প্যাক খুব কার্যকর এর সাথে কাঁচা হলুদ, দুধ ও বেসন একসাথে মিক্স করে মুখে মাখলে মুখের কালো দাগ দূর হয়।
- মুখের কালো দাগ দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেমন কাঁচা হলুদ, লেবুর রস, টমেটো, শসা, এলোভেরা জেল, চালের পানি ইত্যাদি। এগুলো মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- মুখের কালো দাগ দূর করতে দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে সাবান ব্যবহার না করাই ভালো।
- যারা প্রতিদিন বাইরে কাজ করে তাদের ত্বকে বেশি রোদ ও ধুলা বালি জমা হয়ে থাকে যা ত্বকের গুণগত মান নষ্ট করে। যার ফলে মুখে আস্তে আস্তে কালো দাগ হতে থাকে তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাত পা ফর্সা করার উপায়
অনেকেই আছেন যাদের মুখের তুলনায় হাত-পা কম ফর্সা। মুখের তুলনায় হাত-পা
কম ফর্সা হলে বা কোন দাগ থাকলে তা দেখতে ভালো লাগে না।
আমরা ত্বকের যত্নে যতটা যত্নশীল হাত পায়ের যত্নে ততটা নয়। আজকে
আমরা জানবো ঘোরার পদ্ধতিতে কিভাবে হাত-পা ফর্সা করা যায়।
হলুদ ও শসার স্কাবঃ প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা করার জন্য শসা ভীষণ
কার্যকারী। আর হলুদ ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। একটি পরিষ্কার পাত্রে
বা বাটিতে তিন চার চামচ শসা রসের সঙ্গে আধা চামচ হলুদের গুড়া মিশিয়ে
নিতে হবে। তারপর তা হাত পায়ে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে না যাওয়া
পর্যন্ত রাখতে হবে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে
হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করলে হাত পাত ফর্সা হবে।
এলোভেরা ও মধুর স্কাবঃ ত্বকের যত্নে এলোভেরা ব্যবহার করা খুব পুরনো হলেও
এটি বেশ কার্যকর।অ্যালোভেরা তে থাকে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর
হয়। হাত-পা ফর্সা করার জন্য দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল ও দুই চামচ
মধু একসাথে মিক্স করে হাত পায়ে মাখলে পরে তা শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দ্রুত হাত-পা ফর্সা হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম
টমেটো ও মধুর স্কাবঃ ত্বকের যত্নে টমেটো খুব উপকারী।টমেটো ব্যবহার করলে
ত্বক ও হাত-পা ফর্সা হয়। এতে থাকে এনজাইম যা
নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক ও হাত পা ফর্সা হয়। টমেটো সাথে
বাদামি চিনি ও মধু মিশিয়ে স্কাব তৈরি করে ব্যবহার করতে
পারেন। হাত পা ফর্সা করার জন্য চার চামচ টমেটো রসের সাথে দুই চামচ বাদামি
চিনি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে হাত পায়ে মাখুন। তাকিয়ে গেলে হালকা গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুবার ব্যবহারের ফলে হাত-পা ফর্সা হবে।
ভালো সাবান বাছাইয়ের মূল উপাদান
ভালো সাবান বাছাই করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও বিষয় বিবেচনা করা
উচিত। একটি ভালো সাবান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাই সাবান বাছাই
করার সময় অবশ্যই কিছু উপাদান দেখে নিতে হবে তা নিচে বলা হলো।
- নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, শিয়া বাটার, কোকো বাটার ইত্যাদি উপাদান ত্বককে কমল ও মসৃণ রাখে।
- গ্লিসারিন ত্বক থেকে আদ্রতা নষ্ট হতে দেয় না। গ্লিসারিন ত্বকের জন্য খুব উপযোগী।
- ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য খুব উপযোগী।
- নিম তুলসী ও অ্যালোভেরা এসব প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখে ত্বক ঠান্ডা ও ভালো রাখে।
- ভালো সাবানের পিএইচ হওয়া উচিত ৫.৫ থেকে ৭ পয়েন্ট এর মধ্যে।
ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সাবান নির্বাচন
আমাদের প্রত্যেকেরই ত্বকের ধরন ভিন্ন। তাই সবাই একই সাবান ব্যবহার করলে ত্বকে
সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক সাবান ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে আর ভুল সাবান
ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা নষ্ট হয়। ত্বকে শুষ্কতা, ব্রোন বা জ্বালাপোড়া
তৈরি করতে পারে। আজকের ব্লগে আমরা জানবো কিভাবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক
সাবান নির্বাচন করতে হয়।
শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযুক্ত সাবানঃ শুষ্ক ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতার
অভাব থাকে তাই এর জন্য চাই মশ্চারাইজিং উপাদান যুক্ত সাবান। উপাদান গুলো
হল অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, শিয়া বাটার, গ্লিসারিন, এলোভেরা
ইত্যাদি। শুষ্ক ত্বকের জন্য মশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং লেখা সাবান ব্যবহার
করুন। ক্যামিকেল মুক্ত ও প্রাকৃতিক সাবান সবচেয়ে ভালো।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত সাবানঃ তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত
তেল উৎপন্ন হয় যার ফলে ব্রণ হয়।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত
উপাদান গুলো হল নিম, তুলসী, শ্যালীসাইলিক এসিড ইত্যাদি। তৈলাক্ত
ত্বকের জন্য অয়েল কন্ট্রোল সাবান বেছে নিন। অতিরিক্ত মশ্চারাইজিং সাবান
এড়িয়ে চলুন।
মিশ্র ত্বকের জন্য উপযুক্ত সাবানঃ মিশ্র ত্বকের অর্ধেক
অংশ তৈলাক্ত ও অর্ধেক অংশ শুষ্ক থাকে। মিশ্র ত্বকের জন্য উপাদান
হলো গ্লিসারিন, অ্যালোভেরা, হালকা টি- ট্রি। এ ধরনের ত্বকের জন্য পিএইচ
ব্যালেন্স ও হালকা সাবান ব্যবহার করুন। দুই ধরনের উপকার পাওয়া যায় এমন
সাবান বেছে নিন।
বাজারে জনপ্রিয় পাঁচটি সেরা সাবান
ত্বকের যত্নে বাজারে বিভিন্ন রকম সাবান রয়েছে। কিন্তু সব সাবান
আবার ত্বকের জন্য ভালো নয়। ত্বকের যত্নে পাঁচটি সেরা সাবানের নাম নিচে
দেওয়া হল যেগুলো বাজারে খুব জনপ্রিয়। আপনি চাইলে আপনার ত্বকে ধরুন
অনুযায়ী এ সাবানগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Sandalina Sandal Soap
- Dove Original Beauty Bar
- Lux Soft Glow Soap
- Dettol Original Bath Soap
- Savlon Active Anti Septic
লেখকের মন্তব্যঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই
অজানা। আমরা অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য ভালো সাবানের খোঁজ করে
থাকি। কোন সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক ফর্সা হওয়া উজ্জ্বল
হবে সেই সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। বাজারে এমন কিছু সাবান
রয়েছে যেটা ব্যবহার করার ফলে আপনি খুব দ্রুত ফর্সা হবেন।
আপনি যদি ফর্সা হতে চান এবং মুখের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই
ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া
পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান রয়েছে যা দ্রুত ত্বক ফর্সা ও
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে যেমন দুধ, বেসন, দুধের
সর, টমেটো, কমলার খোসা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি। আমি নিজেও
ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি। আপনি চাইলে ত্বকের যত্নে
বিভিন্ন ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই মাথায়
রাখবেন এগুলো পরিমাণ ও ব্যবহারের নিয়ম ঠিক আছে কিনা।
মুক্তা আইটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url