তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয় জেনে নিন
আমরা অনেকে হয়তো তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা তিসি খেলে কি
হয় সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। তিসি হলো একটি আশ্চর্যজনক
প্রাকৃতিক উপাদান। তিসি বীজ নানা রকম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তিসি বীজ আমাদের
সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে তিসি খাওয়া মানব দেহের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। তিসি খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি তিসি খাওয়ার কিছু
নিয়ম রয়েছে। আজকের এই লেখায় আমরা জানবো তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ও
তিসি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয়
- তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয়
- তিসি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে
- তিসি দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করে
- চুল পড়া রোধে তিসি কিভাবে কাজ করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তিসি কিভাবে কাজ করে
- প্রতিদিন কতটুকু তিসি খাওয়া প্রয়োজন
- বাচ্চাদের জন্য তিসি কি উপকারি
- খালি পেটে তিসি খেলে কি হয়
- তিসি খাওয়ার অপকারিতা কি কি
- লেখকের শেষ কথাঃ তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয়
তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয়
আজকে আমরা জানবো তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ও তিসি খেলে কি হয়। তিসি
একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে ওমেগা ফ্যাটি
অ্যাসিড, ফাইবার ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই
তিসি খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা গুলো।তিসি খাওয়ার আগে সবসময় গুড়ো করে
খাওয়া উত্তম কারণ সম্পূর্ণ তিসি হজম করতে কষ্ট হয় তাই গুড়ো করে
খাওয়া ভালো। দিনে এক থেকে দুই চামচ খাওয়া উপযোগী।
সকালে খালি পেটে উষ্ণ
পানির সঙ্গে তিসি খাওয়া যায়। আপনি চাইলে আধা গ্লাস পানিতে তিসি ভিজিয়ে
রেখে সকালে খেতে পারেন। তিসি স্মুদি, দই বা ওটসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া
যায়। রান্নার উপকরণ হিসেবেও তিসি ব্যবহার করা হয় যেমন
রুটি, পরোটা বা সালাদের সাথে মিশিয়ে তিসি ব্যবহার করতে পারেন। দুধের
সাথে তিসি মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যার উপকার পাওয়া যায়। রুটি তৈরি
করার সময় যদি তিসির গুড়া মিশিয়ে রুটি বানানো যায় তাহলে সুন্দর
ঘ্রান হয় এবং রুটি খেতে স্বাদ লাগে।
এখন জানবো তিসি খাওয়ার উপকারিতা কি কি। তিসি হল এমন একটা প্রাকৃতিক
উপাদান যা দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে। তিসি ওজন কমাতে
সাহায্য করে। তিসি দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। তিসিতে থাকা ওমেগা ফ্যাটি
অ্যাসিড হার্টকে সুস্থ রাখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।তিসিতে ফাইবার বেশি থাকার
কারণে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। তিসি হজমের সমস্যা ও
কোষ্ঠকাঠিন্য ও কমায়। নিয়মিত তিসি খাওয়া মানবদেহের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে নারীদের জন্য। কারণ নিয়মিত তিসি খেলে গর্ভধারণের
সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আমাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে তিসি খাওয়া প্রয়োজন।
তিসি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে
হ্যাঁ তিসি ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি হলো একটি প্রাকৃতিক উপায় যা সঠিক নিয়মে
খেলে আস্তে আস্তে ওজন কমতে শুরু করে। তিসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা
পেট ভরা রাখে অনেকক্ষণ ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তিসিতে রয়েছে
কিছু উপাদান যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য
করে। তিসি রক্তে গ্লুকজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত
চর্বি জমা হয় না। তিসি হজম শক্তি বাড়ায় এবং দেহে জমে থাকা বর্জ্য বের করে
দেয় যা ওজন কমানোর পথে সহায়ক। সকালে খালি পেটে এক চামচ তিসির গুড়া উষ্ণ
গরম পানিতে খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে।
তিসি দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করে
তিসি দিয়ে রূপচর্চা উপকারী ও প্রাকৃতিক উপায়। তিসি দিয়ে রূপচর্চা করলে
আপনি পেতে পারেন সুন্দরও ঝলমলে ত্বক। তিসি দিয়ে রূপচর্চা একটি অত্যন্ত
কার্যকরী উপায় এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং
ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। বিভিন্ন ধরনের ত্বক সমস্যা যেমন শুষ্কতা,
বলিরেখা, ত্বকের দাগ ইত্যাদি সমাধানের সাহায্য করে। তিসি দিয়ে বিভিন্ন রকম
ভাবে রূপচর্চা করা যায় এর মধ্যে একটি সহজ উপায় হলো এক চা চামচ
তিসির গুঁড়ো, এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ দই। এখন সব উপকরণ
একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর মুখে ভালোভাবে
লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ফেলুন।
তাছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তিসি ও লেবুর প্যাক তৈরি করে ব্যবহার
করতে পারেন তার জন্য এক চা চামচ তিসির গুঁড়ো, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ
মধু সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। তিসি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বকের দাগছোপ দূর করে।
কিছু লোকের ত্বকে এলার্জি হতে পারে তাই প্রথমে ছোট জায়গায় টেস্ট করে দেখবেন
তারপর ব্যবহার করবেন।
চুল পড়া রোধে তিসি কিভাবে কাজ করে
তিসি চুল পড়া রোধে একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন,
মিনারেল এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। তিসিতে প্রচুর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মাথার
ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের গোড়াকে মজবুত করে। তিসিতে থাকা ভিটামিন
ই অ্যান্টিঅক্সিজেন হিসেবে কাজ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
তিসিতে থাকা প্রোটিন চুলের গঠন মজবুত করে এবং হরমোন জনিত কারণে চুল পড়া রোধের
সাহায্য করে। তিসি ব্যবহারে মাথার ত্বক ভালোভাবে মশ্চারাইজ থাকে ফলে চুল পড়া
কমে এবং চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
তিসি চুলের জন্য কিভাবে ব্যবহার করবেন। তিসির তেল সপ্তাহে দুই-তিনবার
ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এটি চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দিবে তিসির বীজ ব্লেন্ড
বা ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করুন। কিংবা তিসি সিদ্ধ করে জেল তৈরি করে তা
চুলে লাগালে চুল নরম হয় এবং চুল পড়া কমে। তিসির গুড়া বা পুরো বীজ সকালে গরম
পানির সঙ্গে খেলে শরীরে ও চুল উভয়ের জন্যই উপকারী। আপনি যদি চুল পড়া
রোধে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজেন তাহলে তিসি হতে পারে আপনার জন্য একটা সেরা সমাধান।
নিয়মিত তিসি ব্যবহারের ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তিসি কিভাবে কাজ করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের তিসি খুব উপকারী কারণ প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তের শর্করার
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তিসি। তিসি হলো এক ধরনের প্রাকৃতিক বীজ যেটি ফাইবার
ওমেগা ফ্যাটি এসিড বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তিসিতে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এই ফাইবার হজমের গতি কমিয়ে দেয় ফলে গ্লুকোজ ধীরে
ধীরে শোষিত হয় এতে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় না। তিসি শরীরের
ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
তিসি কোষের শক্তি কমায় এবং ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা প্রতিরোধের সাহায্য
করে। তিসি । খেলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা অনুভব করায় ফলে কম খাওয়া হয় ওজন
কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সুবিধা হয়। তাই
বলা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ তিসির গুড়া খাওয়া
উচিত। সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিদিন কতটুকু তিসি খাওয়া প্রয়োজন
প্রতিদিন তিসি খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে আপনার বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা ও আপনি
কি উদ্দেশ্যে তিসি খাচ্ছেন তার ওপর। তবে সাধারণভাবে স্বাস্থ্য রক্ষায় দৈনিক এক
থেকে দুই চামচ তিসি খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী বলে ধরা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক
পুরুষ মহিলা প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ তিসির গুড়া খাওয়া যেতে পারে। তাহলে
আপনার শরীরের কোলেস্টেরল কমবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হজমের সহায়তা
করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
আবার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তিসি খাওয়ার আগে গুড়া করে খাওয়া কারণ তিসি
আস্ত বীজ হজম হয় না। তিসিতে ফাইবার বেশি থাকে তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে
হবে। অতিরিক্ত তিসি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এটি হরমোন ভারসাম্যে
প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বলা যায় দৈনিক এক থেকে দুই চা চামচ তিসি ভিজিয়ে
রেখে বা হালকা ভেজে গুঁড়ো করে দই, ওটস, সালাত সুপ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে
খাওয়া যায়।
বাচ্চাদের জন্য তিসি কি উপকারি
বাচ্চাদের জন্য তিসি কিছু নির্দিষ্ট শর্তের উপকারী হতে পারে তবে অবশ্যই
নির্ধারিত পরিমাণ এবং সঠিক প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়াতে
হবে। বাচ্চাদের জন্য তিসি মস্তিষ্কের গঠনের সহায়ক। তিসিতে থাকা ফাইবার
হজমের সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে কার্যকর। তিসিতে ম্যাগনেসিয়াম ও
ক্যালসিয়াম থাকে যা বাচ্চাদের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তিসিতে থাকা
এন্টিঅক্সিডেন্ট বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে ছয় মাসের নিচে বাচ্চাদের তিসি দেওয়া যাবে না। এক বছরের
নিচে শিশুরা তেল বা বীজ ভালোভাবে হজম করতে পারে না। তাই বাচ্চাদের আস্ত
তিসি না দিয়ে গুড়া করে দিতে হবে। দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের
দিনে এক চা চামচ তিসির গুড়া দেওয়া যেতে পারে। ছয় থেকে ১২ বছরের শিশুদের
এক থেকে দুই চা চামচ তিসির গুড়া দেওয়া যেতে পারে। বাচ্চাদেরর তিসি গুড়ো
করে, ভাত, দুধ, সুজি বা খিচুড়িতে মিশিয়ে দিন। তাছাড়াও
প্যানকেক, পুডিং তৈরিতে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
খালি পেটে তিসি খেলে কি হয়
তিসিতে রয়েছে ফাইবার তাই খালি পেটে তিসি খেলে হজমে সহায়তা করবে, পেট পরিষ্কার
রাখতে সাহায্য করবে। সকালে খাওয়া তিসি বাওয়েল মুভমেন্ট
উন্নত করে, নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।খালি পেটে তিসি খেলে ওজন কমাতে
সাহায্য করে। ফাইবার পেট ভরা রাখে ফলে অতিরিক্ত খিদে কমে যায়। খালি পেটে
নিয়মিত তিসি খেলে কোলেস্টেরল কমে। খালি পেটে তিসি খাওয়ার আগে
অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেমন আস্ত তিসি হজম হয় না।
তাই তিসি খাওয়ার আগে অবশ্যই গুড়ো করে বা ভিজিয়ে রেখে খাওয়া
উত্তম। খাওয়ার পরে এক গ্লাস পানি অবশ্যই খেতে হবে না হলে পেট ফেপে থাকতে
পারে। খালি পেটে এক থেকে দুই চা চামচ তিসি খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত
খাওয়া যাবে না কারণ অতিরিক্ত তিসি খেলে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে
পারে। যাদের হজমের সমস্যা, পেটের ব্যথা বা অ্যালার্জি প্রবণতা আছে তারা খালি
পেটে তিসি খাবেন না ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন।
তিসি খাওয়ার অপকারিতা কি কি
তিসি খাওয়া অনেক উপকারী হলেও অতিরিক্ত বা ভুল ভাবে খাওয়ার ফলে কিছু অপকারিতা
বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত তিসি খেলে হজম জনিত
সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, গ্যা্স ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে
পারে। অতিরিক্ত তিসি খেলে শরীরে ফাইবারে ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যার
ফলে পর্যাপ্ত পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তিসি রক্ত তরল করে তাই
যারা রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ খান তাদের জন্য রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কারো কারও তিসির প্রতি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে তারা তিসি খেলে চুলকানি, ত্বকে
ফুসফুসি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কাঁচা তিসি শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই সবসময়
তিসি ভেজে বা গুড়ো করে খেতে হবে। তাই বলা যায় প্রতিদিন এক থেকে দুই চা
চামচরতিসির গুড়ো খাওয়া যথেষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত
তিসি খাওয়া উচিত নয়।
লেখকের শেষ কথাঃ তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - তিসি খেলে কি হয়
আজকের এই লেখায় আমরা তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা তিসি খেলে কি হয় সে
সম্পর্কে বলেছি।তিসি খাওয়া একটি সহজ ও কার্যকর স্বাস্থ্য অভ্যাস। যা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়ম মেনে খেলে
এটি হজমশক্তি উন্নত করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে
এবং ত্বক ও চুলের যত্নে ভূমিকা রাখে। তবে মনে রাখতে হবে যে কোন
খাবারের মতোই তিসিও পরিমাণমতো সঠিকভাবে খাওয়া জরুরী। অতিরিক্ত খাওয়া বা
ভুল ভাবে গ্রহণ করলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হতে পারে।
তাই তিসি খাওয়ার আগে নিজের শরীরের চাহিদা বুঝে ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে খাওয়ায় ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখার পথে প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান
যেমন তিসি আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। যার যথাযথ ব্যবহারে আমাদের জীবনকে আরো
সুন্দর ও সুস্থ করে তুলতে পাড়ে।
মুক্তা আইটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url